Friday, 1 November 2013

মধ্যবয়স্কা নারীদের প্রতি ছেলেরা আকৃষ্ট হয় কেন?

সুন্দরী তরুণী বিস্মিত হন এই ভেবে যে, কেন ছেলেরা মধ্যবয়স্ক নারীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। দিন দিন এই ধরনের সম্পর্ক বেড়েই চলেছে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মধ্যবয়স্ক নারীর মধ্যে শারীরিক ও চারিত্রিক বহু আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট আছে।

আর এ সৌন্দর্য তারা সুন্দরভাবে মেলেও ধরতে পারেন। ছেলেরা এই লুকায়িত সৌন্দর্যই খুঁজে বেড়ায় এবং এতে মুগ্ধ হয়। সবচেয়ে বড় কথা সুন্দরী, অবিবাহিত তরুণীরা যত আকর্ষণীয় হোক না কেন একজন মধ্যবয়স্ক নারীর পূর্ণতার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই আনাড়ি তারা।


গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা ৭টি কারণ খুজেঁ বের করেছেন, যার কারণে ছেলেরা মূলত মধ্যবয়স্কা মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে:
১. আত্মবিশ্বাস: নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান এ বয়সে নারীদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য।
২. দায়ীত্বশীলতা: মধ্যবয়স্কা নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। তারা কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ  তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন।
৩. স্বাধীনতা: সাধারণত অধিকাংশ মধ্যবয়স্কা নারী কোন ভনিতা ছাড়াই পুরোপুরি খুশি থাকে। একজন পুরুষকে তার আবশ্যিক করে তোলার কোন দরকার পড়ে না। তিনি কখনোই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেয়ার মানসিকতা রাখেন। আপনি কি কোন জটিল মানসিক গেম আপনার প্রিয়জনের সাথে খেলতে পারবেন? ভালো করে চিন্তা করে দেখুন। মধ্যবয়স্কা নারীরা কখনোই কোন গেম খেলতে যান না কারন তাঁরা ভালো করে জানেন তাঁদের কী প্রয়োজন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন।
৪. সততা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনো ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তার দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তার প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না।
৫. অভিজ্ঞতা: মধ্যবয়স্কা নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তার অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন। এটা কিভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন। মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগী হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সাথে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।
৬. পারস্পরিক বোঝাপড়া: একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে। যে পুরুষটি শুধু সেক্স এবং একটু মুগ্ধতার চোখে তাকানোর জন্য অপেক্ষা করতো সেই পুরুষটির মধ্যেও এই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে।
৭. যৌনতা: বিছানায় একজন মধ্যবয়স্ক নারী যথেষ্ট অভিজ্ঞ, সে তার চরম মুহূর্তের চাওয়া পুরুষটিকে বলতে দ্বিধা করে না। তৃপ্তিময় যৌনতায় তিনি সব ধরনের অনিরাপদ ভীতিকর ব্যাপারগুলোর উর্ধ্বে থাকেন। এই খোলামেলা সততাই
দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে ‘সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড’ বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুনাবলী একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে। অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যাধিক প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারেন।
সূত্র: ইন্টারনেট

Monday, 28 October 2013

স্বামী বিবেকানন্দ

বংশ-পরিচয় :
স্বামী বিবেকানন্দ এক কায়স্থ দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দত্ত- পরিবারের আদি নিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার অন্তর্গত দত্ত- ডেরিয়াটোনা বা দত্ত- ডেরেটোনা গ্রামে। দত্ত- পরিবার মুঘল আমল থেকে ওই গ্রামে বাস করছিলেন। তাঁরাই ওই গ্রামের জমিদার ছিলেন বলে অনুমিত হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দত্ত- পরিবারের রামনিধি দত্ত তাঁর ছেলে রামজীবন দত্ত ও নাতি রামসুন্দর দত্তকে নিয়ে গড়- গোবিন্দপুর (অধুনা কলকাতা ময়দান- ফোর্ট উইলিয়াম অঞ্চল) গ্রামে চলে আসেন। এখানে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হলে এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে দত্তরাও চলে আসেন সুতানুটিতে (অধুনা উত্তর কলকাতা)। সেখানে তাঁরা প্রথমে মধু রায়ের গলিতে একটি বাড়ি তৈরি করেন। রামসুন্দরের বড়ো ছেলে রামমোহন দত্ত ৩ নং গৌরমোহন মুখার্জি স্ট্রিটের বাড়িটি নির্মাণ করেন। এই বাড়িতেই পরে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম হয়। রামসুন্দরের বড়ো ছেলে দুর্গাপ্রসাদ ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের ঠাকুরদা। তিনি তাঁর একমাত্র ছেলে বিশ্বনাথ দত্তের জন্মের পরই সন্ন্যাস অবলম্বন করে গৃহত্যাগ করেছিলেন। বিশ্বনাথ দত্ত দুর্গাপ্রসাদের ছোট ভাই কালীপ্রসাদ কর্তৃক প্রতিপালিত হন। কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি হিসেবে তিনি সারা ভারতে সুনাম অর্জন করেছিলেন। বিশ্বনাথ দত্ত ইংরেজি, বাংলা, ফারসি, আরবি, উর্দু, হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন। ইতিহাস পাঠে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। তিনি সুলোচনা (১৮৮০) ও শিষ্ঠাচার- পদ্ধতি (বাংলা ও হিন্দি ভাষায়, ১৮৮২) নামে দুটি বইও রচনা করেছিলেন। ধর্মবিষয়ে বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন উদার। বাইবেল ও দেওয়ান-ই- হাফিজ তাঁর প্রিয় বই ছিল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিধবাবিবাহ আন্দোলনকেও তিনি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিলেন। দুর্গাপ্রসাদের সংসারত্যাগের পর কালীপ্রসাদের অমিতব্যয়িতায় দত্ত- পরিবারের আর্থিক সাচ্ছল্য নষ্ট হয়েছিল। কিন্তু অ্যাটর্নিরূপে বিশ্বনাথ দত্তের সুদূর- প্রসারিত খ্যাতি সেই সাচ্ছল্য কিয়দংশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। তাঁর স্ত্রী ভুবনেশ্বরী দেবী ছিলেন সিমলার নন্দলাল বসু মেয়ে। তিনি বিশেষ ভক্তিমতী নারী ছিলেন। তাঁর প্রথম কয়েকটি সন্তানের মৃত্যু ও কন্যাসন্তানের জন্মের পর পুত্রসন্তান কামনায় তিনি তাঁর এক কাশীবাসিনী আত্মীয়াকে দিয়ে কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে নিত্য পূজা দেওয়ার ব্যবস্থা করান। এরপরই স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম হওয়ায় তাঁর বিশ্বাস হয় যে, তিনি শিবের কৃপায় পুত্রলাভ করেছেন।


জন্ম ও বাল্যজীবন :
১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি (বাংলা ১২৬৯ সালের ২৯ পৌষ), সোমবার, মকর সংক্রান্তির দিন সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটে কলকাতার সিমলা অঞ্চলের ৩ নং গৌরমোহন মুখার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম। তাঁর নামকরণ করা হয় নরেন্দ্রনাথ দত্ত।
পিতার যুক্তিবাদী মন ও জননীর ধর্মীয় চেতনা স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তা ও ব্যক্তিত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। প্রথম জীবনেই পাশ্চাত্য দর্শন ও বিজ্ঞানের সহিত তাঁর পরিচিতি ঘটেছিল। এই কারণে অকাট্য প্রমাণ ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়া কোনো বক্তব্যই তিনি গ্রহণ করতেন না। অন্যদিকে অতি অল্পবয়সেই ধ্যান ও বৈরাগ্যের আধ্যাত্মিক আদর্শের প্রতি তাঁর মন আকৃষ্ট হয়।
পিতার যুক্তিবাদী মন ও জননীর ধর্মীয় চেতনা স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তা ও ব্যক্তিত্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। প্রথম জীবনেই পাশ্চাত্য দর্শন ও বিজ্ঞানের সহিত তাঁর পরিচিতি ঘটেছিল। এই কারণে অকাট্য প্রমাণ ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়া কোনো বক্তব্যই তিনি গ্রহণ করতেন না। অন্যদিকে অতি অল্পবয়সেই ধ্যান ও বৈরাগ্যের আধ্যাত্মিক আদর্শের প্রতি তাঁর মন আকৃষ্ট হয়।
নরেন্দ্রনাথের বাল্যশিক্ষার সূচনা ঘটে স্বগৃহেই। ১৮৭১ সালে তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন এবং ১৮৭৯ সালে প্রবেশিকা (এন্ট্রান্স) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দর্শন, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, শিল্পকলা, সাহিত্য ও অন্যান্য বিষয়ে ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ ও পাণ্ডিত্য। বেদ, উপনিষদ, ভাগবত গীতা, রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থের প্রতিও তাঁর আগ্রহের কথা সুবিদিত। কণ্ঠসঙ্গীত ও যন্ত্রসঙ্গীত - শাস্ত্রীয় সংগীতের উভয় শাখাতেই তাঁর বিশেষ পারদর্শীতা ছিল। বাল্যকাল থেকেই খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম ও অন্যান্য সংগঠনমূলক কাজকর্মেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন।

বিশ্বধর্ম মহাসভা : 
ধর্মসভা ১৮৯৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটে উদ্বোধন হয়। এ দিন বিবেকানন্দ তাঁর প্রথম সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। তিনি ভারত এবং হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রথমদিকে বিচলিত থাকলেও তিনি বিদ্যার দেবী সরস্বতীর নিকট মাথা নোয়ালেন এবং তার বক্তৃতা শুরু করলেন এভাবে, "আমেরিকার ভ্রাতা ও ভগিনীগণ!" তাঁর এ সম্ভাষণে প্রায় সাত হাজারের মত দর্শক- শ্রোতা দুই মিনিট দাঁড়িয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান। নীরবতা ফিরে আসার পর তিনি তার বক্তৃতা শুরু করলেন। "যে ধর্ম বিশ্বকে সহিষ্ণুতা ও মহাজাগতিক গ্রহণযোগ্যতা শিখিয়েছে সে ধর্মের সর্বাধিক প্রাচীন সন্ন্যাসীদের বৈদিক ক্রমানুসারে" তিনি জাতিসমূহের কনিষ্ঠতমকে অভিবাদন জানালেন।
তিনি গীতা থেকে এ সম্পর্কে দুটি উদাহরণমূলক পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করেন-"যেহেতু বিভিন্ন স্রোতধারাগুলির উৎসসমূহ বিভিন্ন জায়গায় থাকে, সেগুলির সবই সমুদ্রের জলে গিয়ে মিশে যায়, সুতরাং, হে প্রভু, বিভিন্ন প্রবণতার মধ্য দিয়ে মানুষ বিভিন্ন যে সকল পথে চলে, সেগুলো বিভিন্ন রকম বাঁকা বা সোজা মনে হলেও, সেগুলি প্রভুর দিকে ধাবিত হয়!" এবং "যে আকারের মধ্য দিয়েই হোক না কেন, যেই আমার নিকট আসে, আমি তাঁর নিকট পৌঁছাই; সকল মানুষই বিভিন্ন পথে চেষ্টা করছে যা অবশেষে আমার নিকট পৌঁছায়।" সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা হওয়া সত্ত্বেও এটি সভার আত্মা এবং এর বিশ্বজনীন চেতনা ধ্বনিত করে।
সভার সভাপতি, ডঃ ব্যারোজ বলেন, "কমলা- সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মসমূহের মাতা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং তাঁর শ্রোতাদের উপর সবচাইতে বিস্ময়কর প্রভাব বিস্তার করেছেন।" প্রেসে তিনি প্রচুর মনোযোগ আকর্ষণ করেন যাতে তিনি "ভারতের সাইক্লোন সন্ন্যাসী" হিসেবে অভিহিত হন। নিউ ইয়র্ক ক্রিটিক লিখেছিল, "ঐশ্বরিক অধিকারবলে তিনি একজন বক্তা এবং হলুদ ও কমলার চিত্রবৎ আধানে তাঁর শক্তিশালী, বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার চেয়ে কম আগ্রহোদ্দীপক ছিল না ঐ সকল সমৃদ্ধ ও ছন্দোময়ভাবে উচ্চারিত শব্দসমূহ। নিউইয়র্ক হেরাল্ড লিখেছিল, "বিবেকানন্দ নিঃসন্দেহে ধর্মসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর বক্তৃতা শুনে আমরা অনুভব করি এ শিক্ষিত জাতির নিকট মিশনারি পাঠানো কি পরিমাণ বোকামি।" আমেরিকার পত্রিকাসমূহ স্বামী বিবেকানন্দকে "ধর্মসভার সবচেয়ে মহান ব্যক্তিত্ব" এবং "সভার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তি" হিসেবে প্রতিবেদন লেখে।
তিনি সভায় আরো অনেকবার হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত বিষয়ে বলেন। সভা ১৮৯৩ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হয়। সভায় তাঁর সকল বক্তৃতার একটি সাধারন বিষয়বস্ত্তু ছিল - সর্বজনীনতা - অধিক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় সহিষ্ণুতা।