Saturday, 26 October 2013
Thursday, 24 October 2013
আপনি কি পাইলট হতে চান ?
ছোটবেলায় পাইলট হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের যোগ না হওয়ায় অধরাই থেকে গেছে স্বপ্ন। বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমী ছাড়াও গ্যালাক্সি ও আরিরাং নিয়মিত পাইলট কোর্স করিয়ে থাকে।
যোগ্যতা যেমন চাই
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস হতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয় দুটি থাকতে হবে। পদার্থ ও গণিতে কমপক্ষে 'বি' গ্রেড থাকতে হবে। এ ছাড়া ইংরেজি বলা ও লেখায় দক্ষ হতে হবে। যাঁরা স্নাতক শ্রেণীতে পড়ছেন বা পাস করেছেন, তাঁরাও পাইলট কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
সবার আগে ভর্তি পরীক্ষা
পাইলট কোর্সে ভর্তি হতে সবার আগে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ পরীক্ষা হয় দুটি ধাপে_মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। মৌখিক পরীক্ষায় সাধারণত বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন করা হয়। এটি সংশ্লিষ্ট একাডেমী নিয়ে থাকে। আর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় সিভিল এভিয়েশন অনুমোদিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে।
লাগবে গ্রাউন্ড কোর্স
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পাইলট কোর্স করার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। পাইলট হতে পেরোতে হয় তিনটি ধাপ। গ্রাউন্ড কোর্সের পর পেতে হয় এসপি বা স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স। এরপর পিপিএল (প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স), আর সবশেষে পেতে হয় সিপিএল বা কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স। তিন মাসের থিওরি কোর্সে বিমানের কারিগরি এবং এয়ার ল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এয়ারক্রাফট জেনারেল নলেজ, ফ্লাইট পারফরম্যান্স অ্যান্ড প্ল্যানিং, হিউম্যান পারফরম্যান্স অ্যান্ড লিমিটেশন, নেভিগেশন,অপারেশনাল প্রসিডিউর এবং প্রিন্সিপল অব ফ্লাইটের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
সময় এবার উড়াল দেওয়ার
গ্রাউন্ড কোর্সের পর সংশ্লিষ্ট একাডেমী লিখিত পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরাসরি বিমান চালনার জন্য সিভিল এভিয়েশনে এসপিএল বা স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। আবেদনের পর সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি) পরীক্ষা নেয়। সিএএবির পরীক্ষা এবং সিএমবির (সার্টিফায়েড বাই দ্য মেডিক্যাল বোর্ড) স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল এসপিএল দেওয়া হয়। এ লাইসেন্স দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ঘণ্টা বিমান চালনার সার্টিফিকেট অর্জন করে পিপিএল বা প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। এ সময় তিন মাসের থিওরি ক্লাসের সঙ্গে একটি ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট (এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া-আসা) চালানোর অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে হয়। এরপর আবারও লিখিত এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মেলে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স। এ লাইসেন্স দিয়ে কোনো বাণিজ্যিক বিমান চালানো যায় না। তাই পাইলট হিসেবে চাকরির জন্য প্রয়োজন সিপিএল বা কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স। এ লাইসেন্স পেতে ১৫০ থেকে ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এ ছাড়া উত্তীর্ণ হতে হয় লিখিত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। পাশাপাশি থাকতে হয় একটি ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট চালানোর অভিজ্ঞতা ও তিন মাসের থিওরি কোর্সের সার্টিফিকেট। সিপিএল পাওয়া মানেই নিশ্চিত চাকরি।
কাজের ক্ষেত্র
বর্তমানে দেশে ও বিদেশে দক্ষ পাইলটের বেশ চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন) এক রিপোর্টে জানা যায়, বিমান সংস্থাগুলোর নতুন নতুন রুট চালু এবং পুরনো পাইলটদের অবসরে যাওয়ার ফলে প্রতিবছর ১৭ হাজার নতুন পাইলট প্রয়োজন হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক পরিসরে দক্ষ পাইলটের প্রয়োজন কতটুকু। এটি এমন এক পেশা, যেখানে চাকরিই প্রার্থী খোঁজে।
কোর্সের সময় ও খরচ
বৈমানিক কোর্স করতে দেড় থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর লাগে। পিপিএল কোর্স করতে লাগে ছয় মাস। আর সিপিএল কোর্সে সময় লাগে এক বছর। বছরে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও জুলাই-আগস্ট দুটি সেশনে বৈমানিক কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানভেদে বৈমানিক কোর্সের খরচের কিছুটা তারতম্য হয়। সাধারণত পিপিএল ও সিপিএল কোর্স দুটি শেষ করতে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কোর্স ফির বেশির ভাগই খরচ হয় ব্যবহারিক অর্থাৎ ফ্লাইং করতে। সাধারণত প্রতি ঘণ্টা ফ্লাইংয়ের জন্য খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
কেমন আয়
যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি দিন দিন বিমানের সংখ্যা বাড়ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বেসরকারি অনেক বিমান সংস্থায় বৈমানিকদের চাহিদা রয়েছে। এসব এয়ারলাইনসে বৈমানিকদের আকর্ষণীয় বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। বৈমানিকদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয় ঘণ্টা হিসাবে। একজন সিপিএল লাইসেন্সধারী বৈমানিকের মাসিক আয় প্রায় দুই লাখ টাকা। বিদেশি এয়ারলাইনসে এর পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।
প্রশিক্ষণ নেবেন কোথায়
বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমী অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেড
বছরে দুটি সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। কোর্সের মেয়াদ তিন বছর। কোর্স ফি ২০ লাখ টাকা। ঠিকানা : বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমী অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন, হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ভিভিআইপি টার্মিনালের ডানপাশে), উত্তরা, ঢাকা।
গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমী
বছরে তিনটি সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। কোর্সের মেয়াদ ১৮ মাস। কোর্স ফি ২৮ লাখ টাকা। ঠিকানা : বাড়ি-২০, লেক ড্রাইভ রোড,সেক্টর-৭, উত্তরা, ঢাকা।
আরিরাং এভিয়েশন
বছরে তিনটি সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। কোর্সের মেয়াদ ১৮ মাস। কোর্স ফি ৩০ লাখ টাকা। ঠিকানা : বাড়ি ৪২, লেক ড্রাইভ রোড,সেক্টর ৭, উত্তরা,ু ঢাকা।
Tuesday, 22 October 2013
টি-শার্ট ব্যবসা - কিভাবে শুরু করবেন আর কি কি করতে হবে?
৩ ভাবে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। ভয় পাবেন না।
১. স্টক এর বানানো টিশার্ট কিনে তাতে প্রিন্ট করিয়েঃ
এ ক্ষেত্রে যা করা হয় তা হল, সলিড বা এক রঙের টিশার্ট কিনে নেয়া হয় কম দামে। অল্প টাকায় অনেক পাওয়া যায়। তারপর একটা প্রিন্টিং কারখানায় নিয়ে গিয়ে তাতে প্রিন্ট বশিয়ে আয়রন আর প্যাকিং করে নিলেই তৈরী।
এক্ষেত্রে সুবিধাঃ
* সহজে প্রাপ্যতা
* কম সময়ে পণ্য তৈরী
* দাম কম হওয়াতে অনেক টিশার্ট কেনা যায়
এক্ষেত্রে অসুবিধাঃ
* কাপড় মান সম্পন্ন হয় না
* অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সেলাই খরচ পোষাতে হয়।
* ধোয়ার পর কাপড়ের রঙ উঠে
* কাপড় হতে ভুশকী ঊঠে
* রঙ জ্বলে যায়
* সাইজ ট্যাগ ভুল থাকে
এই ক্ষেত্রে আমার মতামতঃ এই কাজ থেকে দূরে থাকুন। এই মানের পণ্য নিয়ে ব্রান্ডিং করা সম্ভব না। কাস্টমার ফিরে ও তাকাবে না ২য় বার।
২. টিশার্ট নিজে বানিয়ে তারপর প্রিন্ট করেঃ
এক্ষেত্রে যা যা করতে হয় তা নিচে সঙ্কখেপে বরণনা দেয়া হলোঃ
*একটা সুষ্ঠ পরিকল্পনাঃ প্রথমে দরকার একটি সুষ্ঠ পরিকল্পনা। এ সময় পারটনার থাকলে কাজ ভাগ করে নিন। কারন সামনে অনেকটা পথ যেতে হবে। একা পেরে নাও উঠতে পারেন। তো পরিকল্পনা যেনো সুদূরপ্রসারী হয়। অনেক হোচট খেতে হতে পারে।
* টার্গেট ফিক্স করে নেয়াঃ কাদের কাছে বিক্রি করবেন তার একটা টার্গেট লিস্ট বানান কাজে দিবে। কারন সবাই সব ডিজাইন পড়বে না। আর কত পিস বানাবেন সেটা ও ধারনা করে নিন।
* ভালো কিছু ডিজাইন বানানোঃ আকর্ষণীয় ডিজাইন নিয়ে কাজ করুন। মানুষ কিন্তু টিশার্ট একটা কারনেই কিনে থাকে আর তা হল ডিজাইন। ডিজাইন এর ব্যাপারে আমি আমার একটা নিয়ম ধরে হাটি, সেটি হল,
SICK =
S for Stylish,
I for Innovative,
C for Creative & Confident and
K for Knowledge.
* ডায়িং ফ্যাক্টরী জোগাড় করাঃ এটা করা খুব জরূরী প্রথমে বেশি খরচ করে হলেও একটা ডায়িং ফ্যাক্টরী কে হাত করতে হবে। আবার উনাদের গিয়ে বইলেন না যে এটা আমি বলে দিসি। না পেলে আমি আছি।
* গারমেন্টস ফ্যাক্টরী জোগাড় করাঃ সবচেয়ে কঠিন কাজ এটা। ছোটো কাজ গুলো গারমেন্টস ফ্যাক্টরী গুলা নিতে চায় না নিতে চাইলেও এমন ডিমান্ড করে যা পোষানো সম্ভব না! খুজে দেখুন হয়তো পেয়ে যাবেন। না পেলে এই অধম তো আছেই। ভ্রু কুচকাইয়েন নাহ।
* ডিজাইন প্রিন্টিং এর ফ্যাক্টরী জোগাড় করাঃ এটা একটু কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু এখন এতা খুবি সহজ। প্রথমবার যেমন করেই হোক রাজী হয়ে যান একটা পেলে। পরের বার না হয় বোঝাপরা করে নিলেন :)। এদের ডিজাইন গুলো দিয়ে দিন। এরা ডাইজ বানায় রাখবে কাজ এগিয়ে যাবে কিছু এডভান্স দিয়ে দিয়েন। আবারো ভ্রু কুচকালেন? ভাই আমি তো আছি এ নাকি?
* কাপড় কেনাঃ কি মানের কাপড় কিনবেন তা সম্পর্কে পূর্বে ধারনা থাকাটা বাঞ্ছনীয়। কাপড় সাধারনত কাপড় এর ঘনত্ব এর উপর ডিপেন্ড করে। কাপড় ও সেলাই ভালো দিতে হবে তাহলে ভালো রেসপন্স পাবেন। কাপড়ের মান যাচাই করে নিন আগে। কাপড়ের জিএসএম কত তা জেনে নিন। ১৬০ এর উপরের জিএসএম এর কাপড় আমার চোখে অনেক ভাল। তবুও আমি ১৮০ কেই প্রাধান্য দেই। শীতের পোষাক এর জন্য ২০০+ জি এস এম নিতে হবে। ভুলেও ইন্ট্যাক্ট কাপড় কিনবেন না যা আগে থেকেই রঙ করা থাকে। কাপড় নারায়ঙ্গঞ্জ এ কিনতে পাওয়া যায়। ২নং রেইল গেট এ ডান দিকে হাটতে থাকলে পাগল হয়ে যাবেন কাপড়েদ দোকান দেখতে দেখতে চাষাড়া এর। কিন্তু ভালো মানের গ্রে কাপড় টা কিনতে দেয়া ভালো হবে আপনার গার্মেন্টস কেই। কারন ওদের জি এস এম মেনশন করে দিলে ওরা ভালো কাপড় এনে দিবে। অনেক ক্ষেত্রে ওরা কমে ও এনে দিতে পারে। আর আপনি কিনতে গেলে আপনার গলা কাটবে এটা স্বাভাবিক। কারন আপনি নতুন। খারাপ দিয়ে দিলে কিছু করার নাই! তাই যার কাছ থেকেই কাপড় কিনবেন একটু ভাল সম্পর্ক হলে ভালো হবে। ক্ষতি হবে না। কারন কাপড়ের উপরের পার্শ্ব টাই আসল না! ভেতর টাই আসল। ছেড়া থাকতে পারে, গোলাকৃতির চাক্তির মত কাটা থাকতে পারে। ফাটা থাকতে পারে। আর গ্রে কাপড় টা যত টা পারবেন মাটিতে না রাখার চেষ্টা করবেন।
* ডায়িং করানোঃ ডায়িং টা সবচেয়ে বেশি ঝামেলাকর। খুব সাব্ধানে করতে হবে। তাদের স্যাম্পল কালার দিয়ে আসবেন যাতে কালার এ হেরফের না হয়। একটু এদিক সেদিক হলেই কালার পালটে আরেকটা হয়ে যাবে। আর একবার রঙ হয়ে গেলে ঝামেলা। ডায়িং ফ্যাক্টরীতে কোন রঙের কত কেজি কাপড় হবে আর রঙ এর স্যাম্পল দিয়ে আসলেই ওরা করে দিবে যদি অদের আপনার কালার ক্যাপচারিং আইডিয়া থাকে। তবে আমি বল্বো বলে দিয়ে আসা টাই ভালো।
* ডায়িং থেকে গারমেন্টস ফ্যাক্টরী তে কাপড় স্থানান্তরঃ ডায়িং ফ্যাক্টরী থেকে কাপড় ডায়িং শেষ হবার পর তা গারমেন্টস ফ্যাক্টরীতে পাঠাতে হবে।
* কি কি সাইজ এর টিশার্ট বানাবেন তার ধারনাঃ গারমেন্টস ফ্যাক্টরীতে আপনার টিশার্ট এর মেজারমেন্ট চার্ট আর রেশিও দিয়ে আসতে হবে। সাইজ হিসেবে করতে পারেন S, M, L, XL । মেজারমেন্ট এ থাকবে টিশার্ট এর মাপ কোন সাইজ কি মাপের হবে আর কি তাই, আর রেশিও তে থাকবে প্রতি ১২ পিস এ আপনি কত পিস S, M, L, XL সাইজের টিশার্ট করতে চাইছেন যেমন 2:4:4:2 = 12।
* কাপড় কাটানোঃ গারমেন্টস ফ্যাক্টরী থেকে আপনাকে আপনার মেজারমেন্ট অনুযায়ী কাপড় কেটে দেয়ার পর তা নিয়ে আসবেন কারন তা আপনার প্রিন্টিং ফ্যাক্টরী কে দিতে হবে প্রিন্ট করতে।
* প্রিন্টিং এ পাঠানোঃ এবার প্রিন্টিং ফ্যাক্টরী তে কোন ডিজাইন এর কতগুলো টিশার্ট হবে তা তাদের বুঝায় দিয়ে আসতে হবে।
* প্রিন্ট করানোঃ এবার প্রিন্টিং ফ্যাক্টরী তে কোন ডিজাইন গুলো প্রিন্ট করানোর সময় তাদের দিয়ে পারলে দাঁড়ায় থেকে প্রিন্ট করিয়ে নিবেন তারা যেদিন আপনাকে সময় দিবে। প্রতিটা চেক করে নিবেন আর দেখে নিবেন যাতে অবাঞ্ছিত কোনো দাগ না পরে।
* প্রিন্ট থেকে এনে সেলাই এর জন্য তৈরী করাঃ প্রিন্ট করা শেষ হবার পর ভালোভাবে শুকানোর পর তা গারমেন্টস এ পৌঁছে দিন আবার। দেখেবেন যাতে কোনো টা কোনো টার সাথে না লেগে থাকে।
* সেলাই করানোঃ এবার গারমেন্টস ফ্যাক্টরী কে দিয়ে নিখুত ভাবে সেলাই করিয়ে নিন। তাদের বলে দিন যে আপনার সেলাই এর ধরন কেমন হবে? আপনার ব্র্যান্ড লেবেল আর সাইজ লেবেল আপনি ই প্রোভাইড করুন। এটাই বেশি ভালো।
* কাপড় আয়রন করানোঃ ভালোভাবে আয়রন করে নিন যাতে অতিরিক্ত কোনো ভাজ না পড়ে। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যাতে ৫-১০ টা এক সাথে আয়রন না করে।
* পলি প্যাক করানোঃ ভালো মানের পলি প্যাক এ প্যাকিং করুন। আকরষনীয় মোড়ক ও অনেক ক্ষেত্রে পণ্য বিক্রি তে সাহায্য করে। স্ট্যান্ডার্ড সাইজ এর পলি প্যাক ব্যবহার করুন। সিটি প্লাজা মারকেট এর নিছতলা তেই আকজন হুজুর বিক্রি করে অগুলা ভালোই যেগুলা স্টিকার লাগানো থাকে।
* কারটন করানোঃ ভালো এবং পোক্ত মানের কারটন এ পলি করা টিশার্ট গুলো রাখতে হবে। আমার পরিচিত একজন আছে যিনি কারটন এ ব্র্যান্ডিং করে দিতে পারবে আর কারটন বানায় দিতে পারবে।
* পরিবহনঃ সহজে ঊথানো নামানো যায় এমন ব্যবস্থা গ্রহন করুন। ঢাকার বাইরে পাঠাতে কুরিয়ার সারভিস ব্যবহার করুন। তবে খরচ যত কমাতে পারেন ততি মঙ্গল।
* বিক্রয় শুরুঃ এবার দেদারসে টারগেটেড মানুষদের কাছে বিক্রি শুরু করুন।
এক্ষেত্রে সুবিধাঃ
* কাপড় মান সম্পন্ন হয়
* গ্রাহক বৃদ্ধি পায়
* ধোয়ার পর কাপড়ের রঙ উঠবে না
* কাপড় হতে ভুশকী ঊঠে না
* রঙ জ্বলে যায় না
* সাইজ ট্যাগ ঠিক থাকে
এক্ষেত্রে অসুবিধাঃ
* সময় সাপেক্ষ
* ডায়িং ফ্যাক্টরী পাওয়া যায় না
* গারমেন্টস ফ্যাক্টরী পাওয়া দুষ্কর
* হাতের কাছে প্রিন্টিং ফ্যাক্টরী পাওয়া যায় না
* প্রিন্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে
* বিক্রি না হবার ভয় থাকে
এই ক্ষেত্রে আমার মতামতঃ এই মানের পণ্য নিয়ে ব্রান্ডিং করা সম্ভব। কাস্টমার ফিরে ফিরে আসবে। প্রয়োজনে মাসে একটি মেলা করুন। যেভাবেই হোক করুন মার্কেটিং, প্ডিরাইজ না কমিয়ে ডিস্কাউন্ট দিন বিক্রি আবার না হয় কেমনে তখন দেখবো নে?
৩. ফুল মেড টিশার্ট কিনে
এ ক্ষেত্রে যা করা হয় তা হল, টিশার্ট পুরাই রেডি থাকে। আপনি শুধু কিনবেন আর বিক্রি করবেন।
এক্ষেত্রে সুবিধাঃ
* সহজে প্রাপ্যতা
* বহু ডিজাইন
* দাম কম হওয়াতে অনেক টিশার্ট কেনা যায়
এক্ষেত্রে অসুবিধাঃ
* কাপড় মান সম্পন্ন হতে নাও পারে
* অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সেলাই খরচ পোষাতে হতে পারে
* ধোয়ার পর কাপড়ের রঙ উঠতে পারে
* কাপড় হতে ভুশকী ঊঠতে
* রঙ জ্বলে যেতে পারে
* সাইজ ট্যাগ ভুল থাকতে পারে
* এক সাথে অনেক কিনে রাখতে হয়
-Mahabubur Rahaman Arman
Subscribe to:
Posts (Atom)